সচরাসচর আমরা অনলাইনে যে সকল সমস্যার সম্মুখীন হই তা হল পেপাল ও বিভিন্ন পেমেন্ট সমস্যা। পেমেন্ট সমস্যা সমাধানে বিভিন্ন বিকল্পের অন্যতম ও কার্যকর ব্যবস্থাটি হল পেওনিয়ার কার্ড। পেওনিয়ার কার্ডের কথা জানা নেই এরকম কম মানুষই আছেন। অনেকেই এটা ব্যবহারও করছেন অনেকদিন ধরে। কিন্তু অনেকে আবার এ কার্ড নিতে যেয়ে সমস্যায় পড়ছেন নানা বিষয় নিয়ে। তাদের কথা ভেবেই আমার এ পোস্ট লেখা। সেই সাথে $25 বোনাস পাওয়া সংক্রান্তও কিছু আলোচনা থাকছে।
পেওনিয়ার সাইটে গিয়ে সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন কার্ডের জন্য। তবে কোনো পার্টনারের সাহায্যে বা রেফারেল লিংক হতে এপ্লাই করে কার্ড পাওয়ার পসিবিলিটি বেশি। কি করে ফর্ম পূরণ করতে হয় সে ব্যাপারে আমি তেমন কিছু বলব না। কারন এ কার্ড যাদের দরকার তাদের অবশ্যই এই ফর্ম পূরণ বিষয়ক জ্ঞান আছে। তবে বেশ জরুরি কিছু টিপস রয়েছে এ বিষয়ক, যা থাকছে পোস্টের শেষে।
পেওনিয়ার রেফারেল সিস্টেমটাও এরকমই। এখানে রেফারার ও রেফারেল উভয়ই ভ্যালিড রেফারেলের শর্তে $25 বোনাস পেয়ে থাকেন। পরিমানটা নিতান্তই কম নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে শর্ত প্রযোজ্য। একজন ভ্যালিড রেফারেলকে যা করতে হয় -
কি করা যাবে এই কার্ড দিয়ে?
পেওনিয়ার কার্ড দিয়ে কি করা যাবে না বলে বলা যায় কি করা যাবেনা (তাই বলে ভাববেন না আমি আম পারা, কুতকুত খেলা বিষয়ক কথা বলছি! )। সোজা কথায় - “Sky is the limit” । সংক্ষিপ্তভাবে -- ১. পেপাল সমস্যার সমাধান অনেকাংশেই সম্ভব। তাছাড়া পেপাল একাউন্টও ভেরিফাই করা যায়। অবশ্য সেজন্য কিছু সতর্কতা অবলম্বন জরুরি।
- ২. অনলাইন কেনকাটা।
- ৩. ফ্রিল্যান্স সাইট সমূহ, ক্লায়েন্ট বা অন্য কারো কাছে থেকে পেমেন্ট গ্রহন। পেওনিয়ার প্রায় ২০০ কোম্পানি হতে পেমেন্ট সাপোর্ট করে।
- ৪. Mastercard® এক্সেপ্ট করে এ ধরণের যেকোনো এটিএম বুথ হতে টা কা উত্তোলন।
- ৫. USP সুবিধা।
- ৬. সহজ ও আকর্ষণীয় রেফারেল সিস্টেম।
অসুবিধা:
সুবিধার পাশাপাশি অল্প কিছু অসুবিধাও পেওনিয়ারের নেই, তা নয়। তবে সুবিধার তুলনায় তা নগন্য। আমার মতে সবচেয়ে বড় অসুবিধা হল ফি। পেওনিয়ারের এটিএম উইথ ড্র এর ক্ষেত্রে ফি টা বাড়াবাড়ি রকমের বেশি। এছাড়াও ২০ ডলারের নিচে কার্ড লোড করতে না পারাটাও অন্যতম একটা সমস্যা। অবশ্য এসব আমার মনে হয় সুবিধার তুলনায় নগন্যই বটে।পেওনিয়ার কার্ড যেভাবে পাবেন:
পেওনিয়ার কার্ড বেশ কয়েক প্রকারে পাওয়া যায় – I) সরাসরি কার্ডের জন্য এপ্লাই করে; II) কোনো পার্টনারের সাহায্যে এপ্লাই করে; III) রেফারেল লিংক হতে এপ্লাই করে।পেওনিয়ার সাইটে গিয়ে সরাসরি এপ্লাই করতে পারেন কার্ডের জন্য। তবে কোনো পার্টনারের সাহায্যে বা রেফারেল লিংক হতে এপ্লাই করে কার্ড পাওয়ার পসিবিলিটি বেশি। কি করে ফর্ম পূরণ করতে হয় সে ব্যাপারে আমি তেমন কিছু বলব না। কারন এ কার্ড যাদের দরকার তাদের অবশ্যই এই ফর্ম পূরণ বিষয়ক জ্ঞান আছে। তবে বেশ জরুরি কিছু টিপস রয়েছে এ বিষয়ক, যা থাকছে পোস্টের শেষে।
$25 বোনাস:
পিটিসি প্রেমিদের কল্যানে রেফারেল লিংক এখন অনেকেরই দুই চোখের শত্রু। আমারও তাই। কিন্তু ভালো রেফারেল লিংকে জয়েন করতে সমস্যা কি? তাছাড়া রেফারেল লিংক হতে জয়েনে কার্ড পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যায়।পেওনিয়ার রেফারেল সিস্টেমটাও এরকমই। এখানে রেফারার ও রেফারেল উভয়ই ভ্যালিড রেফারেলের শর্তে $25 বোনাস পেয়ে থাকেন। পরিমানটা নিতান্তই কম নয়। কিন্তু এক্ষেত্রে শর্ত প্রযোজ্য। একজন ভ্যালিড রেফারেলকে যা করতে হয় -
- ১. অবশ্যই কোনো রেফারেল লিংক হতে জয়েন;
- ২. নূন্যতম $100 পেমেন্ট গ্রহণ বা সমপরিমান কার্ডে লোড করা। অবশ্য বেশ কয়েকবারে পেলেও বা লোড করলে সমস্যা নেই।
গুরুত্বপূর্ণ কিছু টিপস:
কার্ড পেতে কিছু টিপস অনুসরণ করা উচিত -- ১. পার্টনার বা রেফারেল লিংক হতে জয়েন করার চেষ্টা করুন।
- ২. অবশ্যই ন্যাশনাল আইডি আছে এমন কারো পূর্নাঙ্গ তথ্য দিয়ে জয়েন করা। কোনো অবস্থাতেই এসকল তথ্য পরিবর্তন অনুচিত ও একই সাথে উক্ত ন্যাশনাল আইডি কার্ডের স্ক্যানড কপি সংগ্রহে রাখা।
- ৩. বিদ্যুৎ বিল, পাসপোর্ট অর্থাৎ ভেরিফিকেশনে প্রয়োজন হতে পারে এ ধরণের ডকুমেন্টের স্ক্যানড কপি সংগ্রহে রাখা।
- ৪. পেওনিয়ার হতে এড্রেস ভেরিফিকেশন সংক্রান্ত মেইল আসতে পারে। তখন তাদের সাথে সাপোর্টে যোগাযোগ করতে হবে - http://www.payoneer.com/contactUs.aspx . আশার কথা হল এদের সাপোর্ট অসম্ভব ফ্রেন্ডলি। আপনার যেকোনো সমস্যা বুঝিয়ে বলতে পারলে এবং যথাযথ প্রমান দিলে তারা আপনাকে হতাশ করবে না।
- ৫. এলাকার পোস্টঅফিসের বিশেষ করে পিয়নের সাথে যোগাযোগ ও সুসম্পর্ক রাখা। অবশ্য কেউ DHL এ আনলে (সম্ভবত $৬০ শিপিং ফি, এর থেকে পিয়নকে চা-নাস্তা খাওয়ানো আমার মনে হয় অনেক ভালো ) অন্য কথা।
- ৬. কার্ড হাতে পাওয়ার পর তা এক্টিভ করে নিন। এসময় কোনো ফি কাটবে না। কার্ড এক্টিভ হওয়ার পর প্রথম পেমেন্ট হতে ফি কেটে নিবে। পার্টনার ভেদে ফির পরিমাণ সাধারণত ভিন্ন হয়। একাউন্টে লগিন করার পর Pricing & Fees হতে এ পরিমাণ দেখে নিন। কোনো কারণে বেশি কাটলে অবশ্যই সাপোর্টে যোগাযোগ করুন।
- ৭. পেপাল ভেরিফিকেশন করলে নিশ্চিত হয়ে নিন আপনি পেপাল সাবধানতার সাথে ব্যবহার করছেন।
No comments:
Post a Comment