বর্তমানে বাংলাদেশী কর্মীরা আউটসোর্সিংয়ের মাধ্যমে প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ডলার আয় করছে। আউটসোসিংয়ে বাংলাদেশের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তাই এ সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর এটাই মোক্ষম সময়। যে কেউ চাইলে ঘরে বসে মাসে ২০-৩০ হাজার টাকা আয় করতে পারবেন। আপনার শুধুমাত্র একটি কম্পিউটার, ইন্টারনেট কানেকশন ও ইংরেজীতে সামান্য দক্ষ হলেই চলবে! আমরা আপনাকে যা যা দরকার সব শিখিয়ে দিব। আয়ের সম্ভাবনা ১০০%, তাহলে দেরী কেন আজই কাজে লেগে পড়ুন।
এটুকু পড়ে হয়ত কেউ কেউ গালি দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছেন। কিন্তু ভাই এ কথাগুলো প্রায়ই শোনা যায়। কেউ কেউ নিজের টাকায় পত্রিকায় ১০০% আয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। এক্ষেত্রে আমাদের দেশপ্রেম কিন্তু কম না তাই আর যাই হোক দেশের মানুষ বেকার থাকতে পারবে না, আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশে না গিয়ে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করব। তাই আমাদের দেশপ্রেমিক ভাইয়েরা কত টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করছে।
আমরা আবার হুজুগে বাঙ্গালী। বুঝে না বুঝে লাভের আশায় ভ্রান্ত জিনিষের প্রতি পথ বাড়াই। কিন্তু যখন ধোঁকা খাই তখন আবার আন্দোলন গাড়ি ভাঙ্গা রাস্তা অবরোধ করি। ব্যপারটা এমন যে, আমি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি হঠাৎ পাথরের সাথে হোচট খেয়ে ব্যথা পেয়ে রেগে গিয়ে আরেক পথচারীকে মারধোর শুরু করলাম। জিজিএন, যুবক, ডেস্টিনি, ইউনিপে, সাইটটক, স্পীক এশিয়া, স্কাইল্যান্সার সর্বশেষ ডুল্যান্সার প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিন্তু অবিবেচক ও লোভী মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কিন্তু এ ধারা শেষ হয়ে যায়নি এবার এরা হাত বাড়িয়েছে অসীম সম্ভাবনাময় ফিল্যান্সিংয়ের দিকে। তাই এখন আমাদের দেশের আইটি এক্সপার্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের দেশের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে আউটসোসিংয়ে ভাল একটা অবস্থান তৈরী করেছেন। কিন্তু গুটিকয় ব্যক্তির জন্য সে অবস্থান যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে সবাই খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে মনে করতে পারেন যে এরা আবার কি করল? তাহলে আসল ঘটনা বলি, গত কয়েক মাসে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং প্রশিক্ষনের নামে শত শত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যারা লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে যাকে তাকে ধরে এনে টাকা আয়ের লোভ দেখিয়ে ট্রেনিংয়ের নামে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে। এর ফলাফল কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে্ খারাপ হবে। প্রথমত যোগ্যতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাফল্যা পাওয়া সম্ভব না। বেশী মাত্রায় নতুন লোকের আগমন ঘটলে মার্কেটে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। অযোগ্য লোকেরা উল্টা পাল্ট কাজ করে দেশের সুনাম নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে এমনও হতে পারে যে বায়াররা শর্ত দিয়ে দিতে পারে যে বাংলাদেশ থেকে কেউ আবেদন করতে পারবে না।
তবে কি নতুনরা আউটসোর্সিংয়ে আসবে না? আসবে অবশ্যই আসবে তবে যারা নতুন তাদের প্রতি আমার বিনীত অনুরুধ আগে নিজেকে ভালভাবে প্রস্তুত করুন, লোভনীয় বিজ্ঞাপনে কান দিবেন না। প্রথমে যেকোন একটি বিষয় বেছে নিন যেক্ষেত্রে আপনি ভাল করতে পারবেন, যেমন- যাদের ক্রিয়েটিভিটি আছে তারা গ্রাফিক্স শিখতে পারেন। নেটে অনেক ভাল ভাল টউটোরিয়াল আছে কষ্ট করে সেগুলো পড়ুন এবং চর্চা করুন, তাহলে অবশ্যই আপনি একদিন দক্ষ হতে পারবেন। আপনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে কাজ করতে চলেছেন, একবার ভেবে দেখুন সেক্ষেত্রে আপনি কতটুকু যোগ্য?
এটুকু পড়ে হয়ত কেউ কেউ গালি দেয়ার জন্য প্রস্তুত হয়ে গেছেন। কিন্তু ভাই এ কথাগুলো প্রায়ই শোনা যায়। কেউ কেউ নিজের টাকায় পত্রিকায় ১০০% আয়ের নিশ্চয়তা দিয়ে বিজ্ঞাপন দেয়। এক্ষেত্রে আমাদের দেশপ্রেম কিন্তু কম না তাই আর যাই হোক দেশের মানুষ বেকার থাকতে পারবে না, আমরা লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে বিদেশে না গিয়ে ঘরে বসে বৈদেশিক মুদ্রা আয় করব। তাই আমাদের দেশপ্রেমিক ভাইয়েরা কত টাকা খরচ করে বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশবাসীকে উদ্বুদ্ধ করছে।
আমরা আবার হুজুগে বাঙ্গালী। বুঝে না বুঝে লাভের আশায় ভ্রান্ত জিনিষের প্রতি পথ বাড়াই। কিন্তু যখন ধোঁকা খাই তখন আবার আন্দোলন গাড়ি ভাঙ্গা রাস্তা অবরোধ করি। ব্যপারটা এমন যে, আমি রাস্তা দিয়ে হেটে যাচ্ছি হঠাৎ পাথরের সাথে হোচট খেয়ে ব্যথা পেয়ে রেগে গিয়ে আরেক পথচারীকে মারধোর শুরু করলাম। জিজিএন, যুবক, ডেস্টিনি, ইউনিপে, সাইটটক, স্পীক এশিয়া, স্কাইল্যান্সার সর্বশেষ ডুল্যান্সার প্রতিটি ক্ষেত্রেই কিন্তু অবিবেচক ও লোভী মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।
কিন্তু এ ধারা শেষ হয়ে যায়নি এবার এরা হাত বাড়িয়েছে অসীম সম্ভাবনাময় ফিল্যান্সিংয়ের দিকে। তাই এখন আমাদের দেশের আইটি এক্সপার্টদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদের দেশের কর্মীরা অক্লান্ত পরিশ্রম ও মেধার মাধ্যমে আউটসোসিংয়ে ভাল একটা অবস্থান তৈরী করেছেন। কিন্তু গুটিকয় ব্যক্তির জন্য সে অবস্থান যাতে নষ্ট না হয় সেদিকে সবাই খেয়াল রাখতে হবে। অনেকে মনে করতে পারেন যে এরা আবার কি করল? তাহলে আসল ঘটনা বলি, গত কয়েক মাসে ফ্রিল্যান্স আউটসোর্সিং প্রশিক্ষনের নামে শত শত প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে যারা লোভনীয় বিজ্ঞাপন দিয়ে যাকে তাকে ধরে এনে টাকা আয়ের লোভ দেখিয়ে ট্রেনিংয়ের নামে হাজার হাজার টাকা লুটে নিচ্ছে। এর ফলাফল কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে্ খারাপ হবে। প্রথমত যোগ্যতা ছাড়া ফ্রিল্যান্সিংয়ে সাফল্যা পাওয়া সম্ভব না। বেশী মাত্রায় নতুন লোকের আগমন ঘটলে মার্কেটে এর বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। অযোগ্য লোকেরা উল্টা পাল্ট কাজ করে দেশের সুনাম নষ্ট করে দিতে পারে। ফলে এমনও হতে পারে যে বায়াররা শর্ত দিয়ে দিতে পারে যে বাংলাদেশ থেকে কেউ আবেদন করতে পারবে না।
তবে কি নতুনরা আউটসোর্সিংয়ে আসবে না? আসবে অবশ্যই আসবে তবে যারা নতুন তাদের প্রতি আমার বিনীত অনুরুধ আগে নিজেকে ভালভাবে প্রস্তুত করুন, লোভনীয় বিজ্ঞাপনে কান দিবেন না। প্রথমে যেকোন একটি বিষয় বেছে নিন যেক্ষেত্রে আপনি ভাল করতে পারবেন, যেমন- যাদের ক্রিয়েটিভিটি আছে তারা গ্রাফিক্স শিখতে পারেন। নেটে অনেক ভাল ভাল টউটোরিয়াল আছে কষ্ট করে সেগুলো পড়ুন এবং চর্চা করুন, তাহলে অবশ্যই আপনি একদিন দক্ষ হতে পারবেন। আপনি আন্তর্জাতিক অঙ্গণে কাজ করতে চলেছেন, একবার ভেবে দেখুন সেক্ষেত্রে আপনি কতটুকু যোগ্য?
No comments:
Post a Comment