-:-:-:যারা আগের পোস্ট টি মিস করেছেন :-:-:-
1. সাদা জাদু-১: ভালোবাসার মানুষটি এখন আপনার পিছনে ঘুরবে, আপনি নন। না দেখলে চরম মিস।(১৮+)
2. সাদা জাদু-২: যে কারো গোপন কথা জানুন খুব সহজে। না দেখলে ১০০% মিস।(১৮+)
3. সাদা জাদু-৩: এবার আপনিও বলবেন, “ভুত কই আছিস পারলে এদিকে আয়।” শরীর+বাড়ি বন্ধ+জিনে আছর করা রোগীর চিকিৎসা।(special)
আসসালামুয়ালাইকুম। আশা করি আল্লাহর রহমতে সবাই ভালো আছেন। আজ সাদা জাদু নিয়ে মেগা সিরিজের ৪র্থ পোস্ট শুরু করছি।
প্রেম/ভালবাসার সঠিক সংজ্ঞা আমার জানা নেই। পৃথিবীর ভিন্ন ভিন্ন মানুষের মতে ভালোবাসার সংজ্ঞা ও ভিন্ন ভিন্ন। আমার কাছে মনে হয় প্রেম আসলে একটা নেশা, আবার পাগলামি ও বলা জেতে পারে। প্রেমে কেউ না পরলে প্রেমের আসল অর্থ কিমবা অনুভুতি কেউ বুঝতে পারবে না। অনেকেই বলে কেউ ভালোবাসার মানুষের জন্য মরতে পারে না। প্রথম প্রথম আমিও এটাই বলতাম। কিন্তু এখন আর বলি না। কারন এখন আমি জানি সত্তিকার ভালোবাসার জন্য মানুষ তার জীবন বিসর্জন দিতে পারে। আত্মহত্যা মহাপাপ কিন্তু তখন আবেগের ভরে ভালো মন্দ বিচারের ক্ষমতা হারিয়ে যায়। তখন শুধু চারপাশে সেই মানুষটির মুখচ্ছবি ভাসতে থাকে। কোন কাজে মন বসা তো দুরের কথা, কাজ করতেই ইচ্ছা করে না। “লাভ অ্যাট ফার্স্ট সাইট” এর ক্ষেত্রে এটা চরম আকার ধারন করে। যারা প্রেমে পরেছেন কিমবা প্রেম কারো উপর পরেছে তাঁরা আমার কথার সাথে একমত হবেন। আর যারা এরকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হন নি তাঁরা আমার কথা গুলোকে পাগলের প্রলাপ মনে করছেন। যাই হোক যা সত্য তাই বলছি।
কিন্তু বড় সমস্যা হয় তখন যখন ভালোবাসার মানুষটি আপনার প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে অথবা ছ্যাকা দিয়ে চলে যায়। আমার ভাষায় যেটা “বাঁশ খাওয়া প্রেম”। প্রায় ৯০ ভাগ প্রেমই হয় বাঁশ খাওয়া প্রেম। আর মাত্র ১০ ভাগ প্রেম সফল হয় মানে বিয়ে পর্যন্ত গড়ায়। কিন্তু বাঁশ খাওয়া প্রেমের ক্ষেত্রে সেই ভালোবাসার মানুষটির কথা সবসময় মনে হয়, এতটা মিস করে যে বলার মত নয়। আবার অনেক ক্ষেত্রেই দুজন দুজনকে ভালবাসলেও নিষ্ঠুর নিয়তির কাছে পরাজিত হতে হয়। আপনি জানেন যে তাকে আপনি পাবেন না তবুও সেই সব ক্ষেত্রে সেই মানুষটিকে ভুলে যাওয়া কঠিন হয়ে পরে। অনেকেই পাগল পর্যন্ত হয়ে যায়। তখন পড়াশোনা, নামায ইত্যাদি ইত্যাদি কোন কিছুই ভালো মত হয় না। কিন্তু পড়াশোনা আর নামায জিবনের জন্য অতীব জরুরি। কিন্তু ইচ্ছা সত্ত্বেও মনোযোগ বসে না। আমার জিবনেও এরকম একটা কালো অধ্যায় আছে। মেয়েটি প্রথম আমাকে প্রথম প্রপোজ করে, আমিও তার প্রতি দুর্বল ছিলাম। কিন্তু মেয়েটি আমাকে ভালবাসলেও আমার সাথে প্রেম করতে রাজি নয়। তার প্রচণ্ড ফ্যামিলি গত সমস্যা রয়েছে। তার বাবা মা হয়ত মেনে নিবে না বা তাকে আর কোন দিন মেয়ে বলে পরিচয় দিবে না ইত্যাদি ইত্যাদি। আমিও তাকে প্রচণ্ড ভালোবাসি, সে আমাকে অনেক ভালবাসে। আগে শুনতাম ছেলেরা মেয়েদের জন্য দাড়িয়ে থাকে কিন্তু আমার ক্ষেত্রে ঐ মেয়েটিই আমার জন্য প্রতিদিন দাড়িয়ে থাকে। জানি অনেকেই বিশ্বাস করছেন না, কিন্তু সত্য। আমি সত্যিই এরকম ভালোবাসা জিবনেও দেখি নি। কিন্তু সে আমার সাথে কোন সম্পর্কে জড়াবে না। ফলে আমি কয়টা দিন অনেকটা পাগলের মত হয়ে গিয়েছিলাম, পড়াশোনা তো দুরের কথা, নামাজটাও ঠিক মত পরতে পারি নি। প্রাইভেট স্যারের কাছে পরীক্ষা দিতে গিয়ে একটা অঙ্ক করেছি, কিন্তু পরের দিন স্যার যখন খাতা দিলেন তখন বললেন আমি কি অঙ্ক দিয়েছি আর তুমি কি অঙ্ক করেছ। আমি বললাম কি বলেন স্যার, আমি ১০০% নিশ্চিত যে ঐ অঙ্কই আমাকে করতে দিয়েছেন। পরে স্যার যখন প্রশ্ন দেখালেন তখন আমি রীতিমত টাসকি খেয়ে গেলাম। পরে বুঝতে পারলাম ওর চিন্তায় আসলে সবকিছু ওলটপালট হয়ে গেছে। পরে আমি কিছু আমলের মাদ্ধমে এই অনাখাঙ্খিত পরিস্থিতির হাত থেকে মুক্তি পাই। আর সেটা নিয়েই আজকের পোস্ট।
মনের কু-ভাব দূর করার উপায়ঃ
কার্যপদ্ধতিঃ সকালে ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে অজু করে নিচের আয়াত টি পাঠ করে শরীরে (বুকে) ফু দিলে ইনশাল্লাহ মনের কু-ভাব দূর হবে, মনের ভিতর কোন বাজে চিন্তা আসবে না। সকালে ফজর নামায পরে তারপর আয়াত টি পরে ফু দিলে খুব দ্রুত ফল পাওয়া যায়। আমার ক্ষেত্রে ১ দিনেই কাজটা সফল হয়েছিল। কারো যদি ১ দিনে সম্পূর্ণ কাজ না হয় তবে এভাবে কয়েকদিন করতে থাকুন। ইনশাল্লাহ ঠিক হয়ে যাবে। আর যতটা সম্ভব সেই মানুষটির স্মৃতি দূরে রাখার চেষ্টা করবেন, যেমন, ফোন নাম্বার, ছবি, কোন গিফট ইত্যাদি।
বিঃদ্রঃ অনেকেই আমাকে ফেসবুকে অনুরোধ করেছেন যেন আমি এটা পাবলিক্যালি এটা প্রকাশ না করি। কারন এতে অনেকেই এটার ভুল প্রয়োগ করবে। বিশেষ করে যারা প্রেম করছেন তাদের ভয় টা আরও বেশি, যদি তাদের ভালোবাসার মানুষটি এটা নিজের উপর প্রয়োগ করে। আমি কোন ভাই/বোনের মন ভাঙতে চাই না। চাই না কেউ তার ভালোবাসার মানুষটিকে হারিয়ে ফেলুক। তাই এই আয়াত টি টিউনার পেজ ব্লগ থেকে হিডেন রাখা হয়েছে। যাদের প্রয়োজন তাঁরা দয়া করে ফেসবুকের এই পেজে লাইক দিয়ে মেসেজ পাঠান। তাহলে আমি ইনশাল্লাহ আপনাকে আয়াতটি মেসেজ করে পাঠাবো।
No comments:
Post a Comment