আমরা আগের টিউটোরিয়াল এ ব্লগ এর বিষয় নির্বাচন নিয়ে লিখেছিলাম। এই টিউটোরিয়াল এ আমরা আপনার ব্লগ এর পাঠক নির্বাচন এবং আরও দুই একটা ব্যাপার নিয়ে লেখার চেষ্টা করব।
ব্লগ এর পাঠক নির্বাচন বলতে বুঝায় আপনি ব্লগ কাদের জন্য লিখতে চাচ্ছেন ঠিক করা। এখন আপনি বলতে পারেন এটি তো সাবজেক্ট নির্বাচনের মধ্যেই পড়ে, তাই না? যেমন আপনি পড়াশোনা বিষয়ক একটা ব্লগ ইংরেজিতেই শুরু করলেন। তাহলে তো যারা পড়াশোনা করছে তারাই আপনার ব্লগ পড়বে। তাহলে পাঠক শ্রেণী তো তারাই, আবার নতুন করে পাঠক শ্রেণী নির্বাচনের কি দরকার?
আপনার কথা ঠিক আছে তবে পুরোটা নয়। আমাদের syllabus আর আমেরিকার একটি স্কুল, কলেজ এর syllabus কি পুরোপুরি এক? তা কিন্তু না। ঠিক আছে আপনি তাও cover up করতে পারবেন। কিভাবে, syllabus পুরোপুরি এক না হলেও সাবজেক্ট তো একই তাই না? আমাদের দেশে SSC, HSC, O level, A level এ সেট পড়ায় ওদের দেশের সমমানের course এ অবশ্যই একই জিনিস পড়ায়। অবশ্যই তাই। দুই একটা জিনিস বাদ দিয়ে প্রায় একই। তাহলে আপনি যদি ব্যাপক আকারে সেট এর বেসিক বুঝিয়ে দেন তাহলে তো ছাত্র যে দেশেরই হোক না কেন আপনার জিনিস কাজে লাগবে।
তা অবশ্যই কিন্তু সেই ব্যাপক আকারে সেট বুঝানোটা কি আপনি পারবেন? ওদের পড়াশোনার স্টাইল আর আমাদের দেশের পড়াশোনার স্টাইল এ অনেক পার্থক্য। শুধু পড়াশুনার স্টাইল না পড়াশুনার পেছনে উদ্দেশ্য; মানসিক , অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক গঠন সবকিছুই কিন্তু ভিন্ন। কাজেই আপনি ব্যাপক আকারে সেট বুঝালেও ওদের যে আপনার পড়ানোটা ভালো লাগবে তার বিন্দু মাত্র গ্যারান্টি নাই।
তাহলে বিষয় নির্বাচনের পরপরই পাঠক শ্রেণী নির্বাচন করুন। এমন পাঠক শ্রেণী নির্বাচন করবেন যারা আপনার মতই। যাদের আপনি চেনেন।
তাহলে আপনি motivated যে নিজের ব্লগিং শুরু করবেন, বিষয় নির্বাচন করেছেন, পাঠক শ্রেণী নির্বাচন করেছেন। এবার কি করবেন। আবার একটু ভাবুন। আপনি পাঠক শ্রেণী নির্বাচন করেছেন। নির্বাচিত পাঠক শ্রেণী টিকে কি আপনার ব্লগের পাঠক বানাতে পারবেন? তার জন্য যা যা লাগবে-
ক) পাঠক কে বুঝাতে হবেঃ
আপনি যা লিখবেন তা পাঠক কে বুঝিয়ে দিতে হবে। মনে করুন আপনি একটি ব্লগ শুরু করলেন কিভাবে outsourcing করে টাকা আয় করতে হয় কিন্তু আপনার পাঠক ব্যাপার গুলো বুঝলই না implement আর কি করবে। তাহলে কোন লাভ হবে? অন্যদের তো লাভ হবেই না আপনার ও কোন লাভ হবে। কেউ একবার এর বেশি দুইবার আপনার ব্লগে আসবেনা।
খ) কাজের জিনিস লিখতে হবেঃ
আপনি যা লিখবেন তা পাঠকদের কাজে লাগতে হবে। আপনি লিখলেন কিভাবে outsourcing করে টাকা আয় করতে হয়। অনেক সুন্দর করে reference দিয়ে সাহিত্যিক গুনে গুণান্বিত লেখা লিখলেন। পাঠক রা তো খুবই impressed, আপনি কত ভালো লেখেন! যখন আপনার লেখাটাকে ভিত্তি করে outsourcing শুরু করল তখন ই কেবল বুঝতে পারল আপনি সুন্দর করে অকাজের কথা লিখেছেন। আপনার লেখা কোন কাজেই আসবেনা। তাহলেও কেউই লাভবান হলেন না।
গ) প্রচুর লিখতে হবেঃ
আপনি শুরু করলেন কিভাবে outsourcing শুরু করতে হয়। পাঠক পড়ল, বুঝল, implement ও করল। কাজেও লাগলো। আপনার উপর পাঠকের একটি বিশ্বাস তৈরি হল। পাঠক outsourcing এর শুরুটা ভালভাবেই করল কিন্তু এরপর আর কোন লেখা খুজে পেলনা। আশাহত হবে, আপনাকেও করবে।
ঘ) পাঠকের সমস্যা বুঝে সাহায্য করতে হবেঃ
আপনার লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে পাঠক outsourcing শুরু করে একটা জায়গায় বুঝলনা। সে তো আপনার উপর ভরসা রাখে! আপনার ব্লগে এ কমেন্ট করল অথবা যেকোনো ভাবে আপনার সাহায্যও চাইল। আপনি তাকে কোন সাহায্যই করতে পারলেন না তাহলেও তো কোন লাভ নেই। আর ঠিক এই কারনে যে জিনিস ভালো জানেন তা নিয়ে, যে পাঠক দের ভালভাবে বুঝেন তাদের জন্য ব্লগ লিখুন।
আপনি যদি উপরের ব্যাপার গুলো ভালোভাবে maintain করতে পারেন ব্লগিং শুরু করুন অনেক ভালো করবেন। practical ব্লগিং শুরু করার আগে এই পর্যন্তই। আমরা পরের পড়বে কিভাবে শুরু মাঠে নামবেন তা নিয়ে আলোচনা করব। উপরের ক, খ, গ, ঘ এর মত আরও কিছু টিপস আছে (আপনার ব্লগের advertising, seo……….) যা আপনার এখন কাজে লাগবেনা কিন্তু যখন শুরু করবেন তখন লাগবে। তা নিয়ে পড়ে লিখব।
ব্লগ এর পাঠক নির্বাচন বলতে বুঝায় আপনি ব্লগ কাদের জন্য লিখতে চাচ্ছেন ঠিক করা। এখন আপনি বলতে পারেন এটি তো সাবজেক্ট নির্বাচনের মধ্যেই পড়ে, তাই না? যেমন আপনি পড়াশোনা বিষয়ক একটা ব্লগ ইংরেজিতেই শুরু করলেন। তাহলে তো যারা পড়াশোনা করছে তারাই আপনার ব্লগ পড়বে। তাহলে পাঠক শ্রেণী তো তারাই, আবার নতুন করে পাঠক শ্রেণী নির্বাচনের কি দরকার?
আপনার কথা ঠিক আছে তবে পুরোটা নয়। আমাদের syllabus আর আমেরিকার একটি স্কুল, কলেজ এর syllabus কি পুরোপুরি এক? তা কিন্তু না। ঠিক আছে আপনি তাও cover up করতে পারবেন। কিভাবে, syllabus পুরোপুরি এক না হলেও সাবজেক্ট তো একই তাই না? আমাদের দেশে SSC, HSC, O level, A level এ সেট পড়ায় ওদের দেশের সমমানের course এ অবশ্যই একই জিনিস পড়ায়। অবশ্যই তাই। দুই একটা জিনিস বাদ দিয়ে প্রায় একই। তাহলে আপনি যদি ব্যাপক আকারে সেট এর বেসিক বুঝিয়ে দেন তাহলে তো ছাত্র যে দেশেরই হোক না কেন আপনার জিনিস কাজে লাগবে।
তা অবশ্যই কিন্তু সেই ব্যাপক আকারে সেট বুঝানোটা কি আপনি পারবেন? ওদের পড়াশোনার স্টাইল আর আমাদের দেশের পড়াশোনার স্টাইল এ অনেক পার্থক্য। শুধু পড়াশুনার স্টাইল না পড়াশুনার পেছনে উদ্দেশ্য; মানসিক , অর্থনৈতিক, সাংস্কৃতিক গঠন সবকিছুই কিন্তু ভিন্ন। কাজেই আপনি ব্যাপক আকারে সেট বুঝালেও ওদের যে আপনার পড়ানোটা ভালো লাগবে তার বিন্দু মাত্র গ্যারান্টি নাই।
তাহলে বিষয় নির্বাচনের পরপরই পাঠক শ্রেণী নির্বাচন করুন। এমন পাঠক শ্রেণী নির্বাচন করবেন যারা আপনার মতই। যাদের আপনি চেনেন।
তাহলে আপনি motivated যে নিজের ব্লগিং শুরু করবেন, বিষয় নির্বাচন করেছেন, পাঠক শ্রেণী নির্বাচন করেছেন। এবার কি করবেন। আবার একটু ভাবুন। আপনি পাঠক শ্রেণী নির্বাচন করেছেন। নির্বাচিত পাঠক শ্রেণী টিকে কি আপনার ব্লগের পাঠক বানাতে পারবেন? তার জন্য যা যা লাগবে-
ক) পাঠক কে বুঝাতে হবেঃ
আপনি যা লিখবেন তা পাঠক কে বুঝিয়ে দিতে হবে। মনে করুন আপনি একটি ব্লগ শুরু করলেন কিভাবে outsourcing করে টাকা আয় করতে হয় কিন্তু আপনার পাঠক ব্যাপার গুলো বুঝলই না implement আর কি করবে। তাহলে কোন লাভ হবে? অন্যদের তো লাভ হবেই না আপনার ও কোন লাভ হবে। কেউ একবার এর বেশি দুইবার আপনার ব্লগে আসবেনা।
খ) কাজের জিনিস লিখতে হবেঃ
আপনি যা লিখবেন তা পাঠকদের কাজে লাগতে হবে। আপনি লিখলেন কিভাবে outsourcing করে টাকা আয় করতে হয়। অনেক সুন্দর করে reference দিয়ে সাহিত্যিক গুনে গুণান্বিত লেখা লিখলেন। পাঠক রা তো খুবই impressed, আপনি কত ভালো লেখেন! যখন আপনার লেখাটাকে ভিত্তি করে outsourcing শুরু করল তখন ই কেবল বুঝতে পারল আপনি সুন্দর করে অকাজের কথা লিখেছেন। আপনার লেখা কোন কাজেই আসবেনা। তাহলেও কেউই লাভবান হলেন না।
গ) প্রচুর লিখতে হবেঃ
আপনি শুরু করলেন কিভাবে outsourcing শুরু করতে হয়। পাঠক পড়ল, বুঝল, implement ও করল। কাজেও লাগলো। আপনার উপর পাঠকের একটি বিশ্বাস তৈরি হল। পাঠক outsourcing এর শুরুটা ভালভাবেই করল কিন্তু এরপর আর কোন লেখা খুজে পেলনা। আশাহত হবে, আপনাকেও করবে।
ঘ) পাঠকের সমস্যা বুঝে সাহায্য করতে হবেঃ
আপনার লেখায় অনুপ্রাণিত হয়ে পাঠক outsourcing শুরু করে একটা জায়গায় বুঝলনা। সে তো আপনার উপর ভরসা রাখে! আপনার ব্লগে এ কমেন্ট করল অথবা যেকোনো ভাবে আপনার সাহায্যও চাইল। আপনি তাকে কোন সাহায্যই করতে পারলেন না তাহলেও তো কোন লাভ নেই। আর ঠিক এই কারনে যে জিনিস ভালো জানেন তা নিয়ে, যে পাঠক দের ভালভাবে বুঝেন তাদের জন্য ব্লগ লিখুন।
আপনি যদি উপরের ব্যাপার গুলো ভালোভাবে maintain করতে পারেন ব্লগিং শুরু করুন অনেক ভালো করবেন। practical ব্লগিং শুরু করার আগে এই পর্যন্তই। আমরা পরের পড়বে কিভাবে শুরু মাঠে নামবেন তা নিয়ে আলোচনা করব। উপরের ক, খ, গ, ঘ এর মত আরও কিছু টিপস আছে (আপনার ব্লগের advertising, seo……….) যা আপনার এখন কাজে লাগবেনা কিন্তু যখন শুরু করবেন তখন লাগবে। তা নিয়ে পড়ে লিখব।
No comments:
Post a Comment